“আমি একবার লিখেছিলাম বসুমতীতে যে, এমন একটা দীপ্ত যুগ আসছে যাতে সমস্ত জগৎ ভাস্বর হয়ে উঠবে। সেই যুগ-পুরুষ একজন আছেন।
…বালক ব্রহ্মচারীজী এই রকম অপূর্ব্ব জিনিস তিনি সাধক নন, তিনি যোগী ঋষি নন। আমরা বহু কষ্ট করে এক আনা পাই। ওঁরা ষোল আনা নিয়ে আসেন, ওঁদের কথাই আলাদা ।
আপনারা ধন্য হয়েছেন ওঁকে পেয়ে। সত্য করে ওঁকে পেতে চেষ্টা করুন, শুধু শিষ্য হয়ে থাকলে হবে না। পেতে চেষ্টা করুন ঐ পরম ধন, বুঝতে চেষ্টা করুন কি বস্তু তিনি দেন। তাহলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আসক্তি ত্যাগের সূত্রে কামকাঞ্চন ত্যাগের উপর অত্যাধিক জোর দিয়ে গিয়েছেন। তাতে মানুষের ধারণা হয়েছে কামকাঞ্চনের অস্তিত্ব থাকলে ধর্ম হবে না। বালক ব্রহ্মচারী এই ভ্রান্তির অপনোদন, এই অমূলক ভীতির নিরসন চাহেন। কাম আসলে ত্যাগ হয় না, ধন বা অর্থ ত্যাগী, ভোগী সকলেরই প্রয়োজন। হিন্দুর শাস্ত্রে কাম ও কমলা দুইজনেই দেবতার অন্তর্গত, দুই-ই জীবনের সহিত ওতঃপ্রোতভাবে মিশে আছে। কামনা মানেই কাম, আনন্দ কামেরই রূপান্তর মাত্র ভগবানে প্রেম ও ভাগবত আনন্দ কামেরই চরম স্ফুর্ত্তি। ধর্মকে অযথা দুলর্ভ ও ভীতির সামগ্রী করিয়া লাভ কি? এই বাণীতেই বালক ব্রহ্মচারীর বৈশিষ্ট্য। যে নির্ভীক সংস্কারমুক্ত বালক শৈশবেই দুর্লভ অষ্টসিদ্ধির প্রকাশ দেখিয়ে দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছিলেন, তাঁহার প্রচারিত ধর্ম, ঐশী শক্তির ও তাহা সঞ্চারের প্রত্যক্ষ পথ ফাঁকা উপদেশ ও আনুষ্ঠানিক ক্রিয়ায় পর্যবসিত নহে।“
— শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ (ঋষি শ্রীঅরবিন্দের ছোট ভাই)
দৈনিক বসুমতী,
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৩৬৪
…বালক ব্রহ্মচারীজী এই রকম অপূর্ব্ব জিনিস তিনি সাধক নন, তিনি যোগী ঋষি নন। আমরা বহু কষ্ট করে এক আনা পাই। ওঁরা ষোল আনা নিয়ে আসেন, ওঁদের কথাই আলাদা ।
আপনারা ধন্য হয়েছেন ওঁকে পেয়ে। সত্য করে ওঁকে পেতে চেষ্টা করুন, শুধু শিষ্য হয়ে থাকলে হবে না। পেতে চেষ্টা করুন ঐ পরম ধন, বুঝতে চেষ্টা করুন কি বস্তু তিনি দেন। তাহলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আসক্তি ত্যাগের সূত্রে কামকাঞ্চন ত্যাগের উপর অত্যাধিক জোর দিয়ে গিয়েছেন। তাতে মানুষের ধারণা হয়েছে কামকাঞ্চনের অস্তিত্ব থাকলে ধর্ম হবে না। বালক ব্রহ্মচারী এই ভ্রান্তির অপনোদন, এই অমূলক ভীতির নিরসন চাহেন। কাম আসলে ত্যাগ হয় না, ধন বা অর্থ ত্যাগী, ভোগী সকলেরই প্রয়োজন। হিন্দুর শাস্ত্রে কাম ও কমলা দুইজনেই দেবতার অন্তর্গত, দুই-ই জীবনের সহিত ওতঃপ্রোতভাবে মিশে আছে। কামনা মানেই কাম, আনন্দ কামেরই রূপান্তর মাত্র ভগবানে প্রেম ও ভাগবত আনন্দ কামেরই চরম স্ফুর্ত্তি। ধর্মকে অযথা দুলর্ভ ও ভীতির সামগ্রী করিয়া লাভ কি? এই বাণীতেই বালক ব্রহ্মচারীর বৈশিষ্ট্য। যে নির্ভীক সংস্কারমুক্ত বালক শৈশবেই দুর্লভ অষ্টসিদ্ধির প্রকাশ দেখিয়ে দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছিলেন, তাঁহার প্রচারিত ধর্ম, ঐশী শক্তির ও তাহা সঞ্চারের প্রত্যক্ষ পথ ফাঁকা উপদেশ ও আনুষ্ঠানিক ক্রিয়ায় পর্যবসিত নহে।“
— শ্রীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ (ঋষি শ্রীঅরবিন্দের ছোট ভাই)
দৈনিক বসুমতী,
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৩৬৪
Show More