মানব জীবনের বাঁকে বাঁকে সংঘটিত সকল বিষয়াদি তথা ব্যক্তিগত জীবন , পারিবারিক জীবন , সামাজিক জীবন , অর্থনৈতিক জীবন , রাষ্ট্রীয় জীবনসহ খুঁটিনাটি সব বিষয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতে সুবিন্যাস্ত বিবরণ রাখা হয়েছে এই অ্যাপটিতে ।
#এক- সূন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও জরুরী। কোনটি সূন্নাহ আর কোনটি বিদআত তা জানা না থাকলে, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করা যেমন কঠিন হবে তেমনি বিদআতকে সূন্নাহ আর সুন্নাহকে বিদআত বলে চালিয়ে দেয়া হবে। তখন সূন্নাহ যেমন কলুষিত হবে, অনুরূপভাবে ইসলামী শরীয়তে বিদআতের অনুপ্রবেশের ফলে শরীয়তের মূল ভীত দুর্বল হয়ে পড়বে, দ্বীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটবে। আসল দ্বীন আর অবশিষ্ট থাকবে না। যেমনি ভাবে পূর্বেকার নবীদের দ্বীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটেছিল। এ বাস্তবতা আমরা যুগ যুগ ধরেই প্রত্যক্ষ করছি। কারণ, আমরা দেখি কিছু আমল এমন আছে যেগুলোকে মানুষ ইবাদাত হিসেবে করে আসছে এবং সূন্নাহ বলে জ্ঞান করছে, অথচ তা কখনোই সূন্নাহের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর মুল কারণ হল, সূন্নাহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান না থাকা এবং সূন্নাহ ও বিদআতের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে অক্ষম হওয়া।
দুই- সূন্নাহ ও বিদআত কি তা জানা না থাকার পরিণতি যে কত ভয়াবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি কোন অশিক্ষিত বা সাধারণ শিক্ষিত মানুষ এ বিষয়ে অজ্ঞ থাকে তা যদিও আশ্চর্যের বিষয় নয়। কিন্তু যখন দেখতে পাই সুপরিচিত মুফতি, মুহাদ্দিস, শাইখুল হাদিসরাই ইসলামের এ মৌলিক বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ তখন আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। যারা ইসলামের ধারক হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত যাদের অনুসরণ করে মানুষ দ্বীন শিখবে তাদের মধ্যে দ্বীনের জ্ঞান না থাকা, ইসলামের সঠিক আকীদা বিশ্বাস সম্পর্কে তাদের মধ্যে ভ্রান্তি থাকা শুধু দু:খ জনকই নয়, বরং এটি দ্বীন ও ইসলামের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের এ উপমহাদেশে এ সমস্যাটি খুবই প্রকট। এখানে যারা ইসলাম সম্পর্কে পড়া লেখা করে তারা নির্ধারিত সিলেবাসের বাইরে পড়া লেখা করার সুযোগ খুব একটা পায়না এবং তাদের শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা পদ্ধতিও সনাতন। তাদের সিলেবাসে যে সব কিতাবাদি পড়ানো হয়ে থাকে, তা যদি কেউ ভালোভাবে পড়ে তাহলে সে তা থেকে কোন প্রকার আরবি গ্রামার, মানতিক, বালাগাত ইত্যাদি শেখার সুযোগ পাবে বটে; কিন্তু মূল দ্বীনি শিক্ষা কুরআন ও হাদিসের ইলম এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণী-হাদিস সম্পর্কে শিক্ষা লাভের সুযোগ এ শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট সীমিত। ফলে দেখা যায়, ‘দাওরায়ে’ হাদিস বা ‘কামিল’ পড়ার পর একজন ছাত্রকে আলেম বা মাওলানা বলা হয়ে থাকে এবং সেও মনে করে আমি একজন আলেম বা মাওলানা। অথচ দেখা যায় সে যে শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়া লেখা করেছে, তার মধ্যেঅনেক ছাত্রই এমন আছে, যারা তাদের ক্লাসের নির্ধারিত কিতাবগুলোই ভালোভাবে বোঝেনি। এ ধরনের ওলামা ও মাওলানারা দীর্ঘ সময় বিভিন্ন শিক্ষকদের সংশ্রবে থেকে তাদের মুখ থেকে যে সব কথা শুনেছে, তাদের থেকে যে সব ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ গ্রহণ করেছে, সেটাই তাদের ইলম এবং সেটিই তাদের আদর্শ ও দ্বীন। এর বাইরে তারা কোন কিছু শোনতে বা শিখতে রাজি না। চাই সেটা কুরআন হাদিস হোক বা না হোক। তারা মনে করে, এর বাইরে কিছু শিখতে গেলে, জানতে গেলে আমরা গোমরাহ হয়ে যাব এবং তাদের ওস্তাদরাও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত এ ধারণাই দিয়ে আসছে- খবরদার! তোমরা আমাদের কথার বাইরে যাবে না। ফলে এদের পরিণতি হয় এমন; এদের কাছে যদি আপনি কোন সঠিক কথাও তুলে ধরেন বা হাদিসের কোন সু-স্পষ্ট বাণীও তুলে ধরেন, তারা কখনোই তা গ্রহণ করবে না। তারা মনে করে, এ কথা আমার ওস্তাদ-তো বলেননি বা আমার ওস্তাদ কি কম জানতেন?। ফলে দেখা যাবে, নিজেকে একজন আলেম দাবি করা সত্ত্বেও সে কথাটি কুরআন ও হাদিসের কষ্টি পাথরে যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। আর এ ধরনের আলেমরাই যখন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বীনি দায়িত্ব পালন করেন, তাদের থেকে সমাজ কি পায় বা তারা সমাজকে কি দিতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের তথাকথিত আলেমদের অধিকাংশই কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখে না এবং কুরআন হাদিস থেকে কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার যোগ্যতা তাদের না থাকার কারণে তারা ইসলামের আলো থেকে অন্ধকারেই অবস্থান করে। যারা তাদের অন্ধ ভক্ত ও অনুসারী তারাও ইসলামের মূল জ্ঞান ও ধ্যান-ধারণা থেকে অনেক দূরেই থেকে যায়। বর্তমান সমাজে সূন্নাহ পরিপন্থী কার্যকলাপ-বিদআত ও কু-সংস্কারসমূহ চেপে বসার এটি একটি অন্যতম কারণ।
মুসলিম উম্মাহর এ দূরাবস্থার কারণে তাদের সূন্নাহ সম্পর্কে সচেতন করা এবং সূন্নাহের গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের অবগত করা খুবই জরুরি। এ app টিতে সূন্নাহের গুরুত্ব এবং সূন্নাহ বিষয়ে কুরআন হাদিস ও উম্মতের ইজমা কি তা আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা এই যে আল্লাহ যেন আমাদের কুরআন সূন্নাহর উপর চলা ও তদুনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফীক দেন। আমীন।
#এক- সূন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও জরুরী। কোনটি সূন্নাহ আর কোনটি বিদআত তা জানা না থাকলে, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করা যেমন কঠিন হবে তেমনি বিদআতকে সূন্নাহ আর সুন্নাহকে বিদআত বলে চালিয়ে দেয়া হবে। তখন সূন্নাহ যেমন কলুষিত হবে, অনুরূপভাবে ইসলামী শরীয়তে বিদআতের অনুপ্রবেশের ফলে শরীয়তের মূল ভীত দুর্বল হয়ে পড়বে, দ্বীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটবে। আসল দ্বীন আর অবশিষ্ট থাকবে না। যেমনি ভাবে পূর্বেকার নবীদের দ্বীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটেছিল। এ বাস্তবতা আমরা যুগ যুগ ধরেই প্রত্যক্ষ করছি। কারণ, আমরা দেখি কিছু আমল এমন আছে যেগুলোকে মানুষ ইবাদাত হিসেবে করে আসছে এবং সূন্নাহ বলে জ্ঞান করছে, অথচ তা কখনোই সূন্নাহের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর মুল কারণ হল, সূন্নাহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান না থাকা এবং সূন্নাহ ও বিদআতের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে অক্ষম হওয়া।
দুই- সূন্নাহ ও বিদআত কি তা জানা না থাকার পরিণতি যে কত ভয়াবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি কোন অশিক্ষিত বা সাধারণ শিক্ষিত মানুষ এ বিষয়ে অজ্ঞ থাকে তা যদিও আশ্চর্যের বিষয় নয়। কিন্তু যখন দেখতে পাই সুপরিচিত মুফতি, মুহাদ্দিস, শাইখুল হাদিসরাই ইসলামের এ মৌলিক বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ তখন আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। যারা ইসলামের ধারক হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত যাদের অনুসরণ করে মানুষ দ্বীন শিখবে তাদের মধ্যে দ্বীনের জ্ঞান না থাকা, ইসলামের সঠিক আকীদা বিশ্বাস সম্পর্কে তাদের মধ্যে ভ্রান্তি থাকা শুধু দু:খ জনকই নয়, বরং এটি দ্বীন ও ইসলামের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের এ উপমহাদেশে এ সমস্যাটি খুবই প্রকট। এখানে যারা ইসলাম সম্পর্কে পড়া লেখা করে তারা নির্ধারিত সিলেবাসের বাইরে পড়া লেখা করার সুযোগ খুব একটা পায়না এবং তাদের শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষা পদ্ধতিও সনাতন। তাদের সিলেবাসে যে সব কিতাবাদি পড়ানো হয়ে থাকে, তা যদি কেউ ভালোভাবে পড়ে তাহলে সে তা থেকে কোন প্রকার আরবি গ্রামার, মানতিক, বালাগাত ইত্যাদি শেখার সুযোগ পাবে বটে; কিন্তু মূল দ্বীনি শিক্ষা কুরআন ও হাদিসের ইলম এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণী-হাদিস সম্পর্কে শিক্ষা লাভের সুযোগ এ শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট সীমিত। ফলে দেখা যায়, ‘দাওরায়ে’ হাদিস বা ‘কামিল’ পড়ার পর একজন ছাত্রকে আলেম বা মাওলানা বলা হয়ে থাকে এবং সেও মনে করে আমি একজন আলেম বা মাওলানা। অথচ দেখা যায় সে যে শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়া লেখা করেছে, তার মধ্যেঅনেক ছাত্রই এমন আছে, যারা তাদের ক্লাসের নির্ধারিত কিতাবগুলোই ভালোভাবে বোঝেনি। এ ধরনের ওলামা ও মাওলানারা দীর্ঘ সময় বিভিন্ন শিক্ষকদের সংশ্রবে থেকে তাদের মুখ থেকে যে সব কথা শুনেছে, তাদের থেকে যে সব ধ্যান-ধারণা ও আদর্শ গ্রহণ করেছে, সেটাই তাদের ইলম এবং সেটিই তাদের আদর্শ ও দ্বীন। এর বাইরে তারা কোন কিছু শোনতে বা শিখতে রাজি না। চাই সেটা কুরআন হাদিস হোক বা না হোক। তারা মনে করে, এর বাইরে কিছু শিখতে গেলে, জানতে গেলে আমরা গোমরাহ হয়ে যাব এবং তাদের ওস্তাদরাও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত এ ধারণাই দিয়ে আসছে- খবরদার! তোমরা আমাদের কথার বাইরে যাবে না। ফলে এদের পরিণতি হয় এমন; এদের কাছে যদি আপনি কোন সঠিক কথাও তুলে ধরেন বা হাদিসের কোন সু-স্পষ্ট বাণীও তুলে ধরেন, তারা কখনোই তা গ্রহণ করবে না। তারা মনে করে, এ কথা আমার ওস্তাদ-তো বলেননি বা আমার ওস্তাদ কি কম জানতেন?। ফলে দেখা যাবে, নিজেকে একজন আলেম দাবি করা সত্ত্বেও সে কথাটি কুরআন ও হাদিসের কষ্টি পাথরে যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। আর এ ধরনের আলেমরাই যখন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বীনি দায়িত্ব পালন করেন, তাদের থেকে সমাজ কি পায় বা তারা সমাজকে কি দিতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ধরনের তথাকথিত আলেমদের অধিকাংশই কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখে না এবং কুরআন হাদিস থেকে কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার যোগ্যতা তাদের না থাকার কারণে তারা ইসলামের আলো থেকে অন্ধকারেই অবস্থান করে। যারা তাদের অন্ধ ভক্ত ও অনুসারী তারাও ইসলামের মূল জ্ঞান ও ধ্যান-ধারণা থেকে অনেক দূরেই থেকে যায়। বর্তমান সমাজে সূন্নাহ পরিপন্থী কার্যকলাপ-বিদআত ও কু-সংস্কারসমূহ চেপে বসার এটি একটি অন্যতম কারণ।
মুসলিম উম্মাহর এ দূরাবস্থার কারণে তাদের সূন্নাহ সম্পর্কে সচেতন করা এবং সূন্নাহের গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের অবগত করা খুবই জরুরি। এ app টিতে সূন্নাহের গুরুত্ব এবং সূন্নাহ বিষয়ে কুরআন হাদিস ও উম্মতের ইজমা কি তা আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা এই যে আল্লাহ যেন আমাদের কুরআন সূন্নাহর উপর চলা ও তদুনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফীক দেন। আমীন।
Show More